প্রিয় পাঠক, ফিড মিলের কোয়ালিটি কন্ট্রোল ল্যাবরেটরিতে অত্যন্ত একটি গুরুত্বপুর্ণ টেস্ট হচ্ছে – ক্যালসিয়াম টেস্ট ( Calcium Test ) । ক্যালসিয়াম টেস্টের ২ টি পর্ব হবে। আজ এই ২য় পর্বে আমরা Finished Feed ও Raw Materilas এর ক্যালসিয়াম টেস্ট ( Calcium Test ) – করার প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করব।
ল্যাব টেস্ট – ক্যালসিয়াম টেস্ট ( ফিড এবং অন্যান্য কাচামালের ক্ষেত্রে )
প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও কেমিক্যালঃ
- স্যাম্পল
- এনালাইজ্যিক্যাল ব্যালেন্স
- কাঁচের বিকার (২৫০ মিলি)
- ভলুমেট্রিক ফ্ল্যাস্ক
- পিপেট
- মিজারিং সিলিন্ডার
- হিটার এন্ড স্টিয়ারার মেশিন
- হোয়াটম্যান ফিল্টার পেপার ( ১ নং এবং ৪০ নং )
- গ্লাস রড
- গ্লাস ফানেল
- ক্রুসিবল
- টাইট্রেশন এপারেটাস (ব্যুরেট ও স্ট্যান্ড)
কেমিক্যালঃ
- হাইড্রোক্লোরিক এসিড সল্যুশনঃ ১:১ ( ১০০ মিলি ডিস্টিল ওয়াটারে ১০০ মিলি হাইড্রোক্লোরিক এসিড যোগ করে প্রস্তুত করতে হবে )।
- সালফিউরিক এসিড সল্যুশনঃ ১:৪ ( ১০০ মিলি ডিস্টিল ওয়াটারে ২৫ মিলি সালফিউরিক এসিড যোগ করে প্রস্তুত করতে হবে )।
- এমোনিয়া সল্যুশনঃ ১:১ ( ১০০ মিলি ডিস্টিল ওয়াটারে ১০০ মিলি এমোনিয়া যোগ করে প্রস্তুত করতে হবে )
- এমোনিয়া অক্সালেট সল্যুশনঃ ৪% ( ১০০ মিলি ডিস্টিল ওয়াটারে ৪ গ্রাম এমোনিয়া অক্সালেট যোগ করে প্রস্তুত করতে হবে )
- পটাশিয়াম পার ম্যাঙ্গানেট সল্যুশনঃ 0.1 Normal ( ১০০০ মিলি ডিস্টিল ওয়াটারে ৩.৩ গ্রাম পটাশিয়াম পার ম্যাঙ্গানেট যোগ করে দ্রবণ প্রস্তুত করে হিট দিয়ে ফুটন্ত হলে ঠান্ডা করে ১ নং ফিল্টার পেপার দিয়ে ফিল্টার করতে হবে )
- মিথাইল অরেঞ্জ সল্যুশনঃ 0.1% ( ১০০ মিলি ইথানলের সাথে ০.১ গ্রাম মিথাইল অরেঞ্জ যোগ করে 0.1% মিথাইল অরেঞ্জ সল্যুশন প্রস্তুত করতে হবে )
ক্যালসিয়াম ( ফিড এবং অন্যান্য কাচামালের ক্ষেত্রে ) টেস্ট পদ্ধতিঃ
- প্রথমে ২-৩ গ্রাম স্যাম্পল পরিমাপ করে নিয়ে হুবুহু অ্যাশ টেস্টের মাধ্যমে অ্যাশ তৈরি করতে হবে।
- স্যাম্পল হতে প্রাপ্ত অ্যাশ, একটি ২৫০ মিলি কাঁচের বিকারে নিতে হবে এবং এর মধ্যে ৪০ মিলি হাইড্রোক্লোরিক এসিড সল্যুশন যোগ করতে হবে। স্যাম্পলটি দ্রবীভূত হয়ে গেলে বিকার টি স্যাম্পল সল্যুশন সহ হিটারে হিট দিতে হবে। এবং ফুটন্ত হলে, নামিয়ে সল্যুশন টি ঠান্ডা করতে হবে।
- ঠান্ডা হওয়া সল্যুশনটি একটি ২৫০ মিলি ভলুমেট্রিক ফ্ল্যাস্কের মধ্যে ফানেল এবং ১ নং হোয়াটম্যান ফিল্টার পেপারের সাহায্যে ফিলট্রেশন করে নিতে হবে। এবং এই সল্যুশনের সাথে ডিস্টিল ওয়াটার যোগ করে ২৫০ মিলি দাগ পর্যন্ত (আপ টু দ্যা মার্ক) ভর্তি করতে হবে। এভাবে এই সল্যুশনটি ঘন্টাখানেক রেখে দিয়ে ভালভাবে মিক্স করতে হবে।
- এরপরে এই সল্যুশন থেকে পিপেটের সাহায্যে ১০ মিলি সল্যুশন অন্য একটি ২৫০ মিলি সাইজের বিকারে নিয়ে তার সাথে ৩০ মিলি ডিস্টিল ওয়াটার যোগ করে ভালভাবে মিশিয়ে সেই সল্যুশনের মধ্যে ৩-৫ ফোঁটা মিথাইল অরেঞ্জ সল্যুশন যোগ করলে দ্রবণ টি হাল্কা গোলাপি-অরেঞ্জ কালারের হবে।
- এবার এই হাল্কা গোলাপি-অরেঞ্জ কালারের দ্রবণে ফোঁটায় ফোঁটায় এমোনিয়া সল্যুশন যোগ করলে কালার পরিবর্তন হয়ে হাল্কা হলুদ রঙ্গের দ্রবণ হবে।
- এখন এই হলুদ কালারের দ্রবণ কে হিটারে ফুটন্ত হওয়া পর্যন্ত হিট দিতে হবে এবং এর সাথে শেষের দিকে ১০ মিলি এমোনিয়া অক্সালেট সল্যুশন যোগ করে হিটার থেকে নামিয়ে ঠাণ্ডা করতে হবে। এতে দেখা যাবে যে হলুদ কালার পরিবর্তন হয়ে সাদা কালার হয়ে যাবে।
- এবার এই সাদা কালারের দ্রবণে ফোঁটায় ফোঁটায় হাইড্রোক্লোরিক এসিড সল্যুশন যোগ করলে কালার পরিবর্তন হয়ে হাল্কা লাল বা হাল্কা গোলাপি কালার হবে। এবং এই সল্যুশনটি ৩-৪ ঘন্টা রেখে দিতে হবে।
- এরপরে ৪০ নাম্বার হোয়াটম্যান ফিল্টার পেপার দিয়ে সল্যুশনটি ফিলট্রেশন করে ফেলে দিতে হবে। শুধুমাত্র ফিল্টার পেপারে জমে থাকা সাদা পাউডার সহ ফিল্টার পেপার অন্য একটি ২৫০ মিলি সাইজের কাঁচের বিকারে নিতে হবে। এবং এর সাথে ৫০ মিলি দাম পর্যন্ত ডিস্টিল ওয়াটার যোগ করতে হবে।
- ফিল্টার পেপারসহ প্রাপ্ত এই দ্রবণে এবার ১০ মিলি সালফিউরিক এসিড সল্যুশন যোগ করে হিটারে আবার ফুটন্ত হওয়া পর্যন্ত হিট দিতে হবে । এবং হিটার থেকে নামিয়ে ঠান্ডা করে পটাশিয়াম পার ম্যাঙ্গানেট সল্যুশন দিয়ে টাইট্রেশন করতে হবে।
- টাইট্রেশনে দ্রবণের কালার সাদা থেকে হাল্কা গোলাপি হয়ে যাবে এবং এই কালার ৩০-৪০ সেকেন্ডের জন্য স্থায়ী হবে। এখন টাইট্রেশনে প্রাপ্ত ব্যুরেট রিডিং দিয়ে নিচের সূত্রের সাহায্যে ক্যালসিয়ামের শতকরা হার বের করতে হবে।
- সূত্রঃ ( Burate Reading x KMnO4 Standard x 50 ) / Sample Weight